যারা সার ও কীটনাশক মজুদ করে কৃত্রিম সংকটের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
রোববার বিসিআইসি আয়োজিত দুই দিনব্যাপী ব্যবস্থাপনা পরিচালক সম্মেলন ২০২০-এর সমাপনী অধিবেশনে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এ সময় কৃষি উৎপাদন সচল রাখতে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন-বিসিআইসিকে সারের উৎপাদন, সরবরাহ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়ার তাগিদ দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বিসিআইসির চেয়ারম্যান মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে অন্যদের মধ্যে বাংলাদেশ ইনস্যুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারি ওয়্যার-বিআইএসএফ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী আবু সাদেক তালুকদার এবং ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের পরিচালক মো: রাজিউর রহমান মল্লিক বক্তব্য রাখেন।
দুই দিনব্যাপী এ সম্মেলনে বিসিআইসির আওতাধীন কারখানাগুলোতে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ব্যয় সাশ্রয়, জনবলের দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এছাড়া বৈদেশিক প্রশিক্ষণ, কারখানার মালিকানাধীন ভূমি সংরক্ষণ ও নামজারি, ওভার টাইম ভাতা যৌক্তিকীকরণ, ব্যবস্থাপকদের আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা ও সুপারিশ গৃহীত হয়।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যেও মানুষের জীবন জীবিকার সুরক্ষার বিশাল দায়িত্ব পড়েছে শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওপর। এ দায়িত্ববোধ থেকে নিরবচ্ছিন্ন সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে, তারা বদ্ধপরিকর। কোনো অবস্থাতেই সারের উৎপাদন, সরবরাহ ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা বিঘ্নিত হওয়া চলবে না।’
সার উৎপাদনে সরকারের অগ্রাধিকারের কথা জানিয়ে শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এ লক্ষ্যে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের প্রশাসনিক ক্ষমতা বাড়ানো হবে। একই সঙ্গে কারখানার উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কারিগরি জনবলের প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজন অনুযায়ী নতুন জনবল নিয়োগ করার কথাও জানান তিনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বিসিআইসির আওতাধীন কারখানাগুলোর জমির খাজনা পরিশোধ করে দ্রুত নামজারি করতে হবে। তা না হলে, সরকারি জমি বেদখল হয়ে যেতে পারে। তাই কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে কারখানার জমি সরকারের নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।’